Logo
শিরোনাম
ক্লুলেস ছিনতাই ও খুনের সাথে জড়িত দুইজনকে গ্রেফতার করেন…. কাফরুল থানা পুলিশ মিরপুর মডেল থানার শ্রেষ্ঠ ওসি হিসেবে সম্মাননা স্মারক গ্রহণ….. সাজ্জাদ রোমন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ কর্তৃক ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব সাজ্জাদুল মিরাজের উপর হামলা …. অবশেষে গ্রেফতারঅবশেষে গ্রেফতার মিরপুর বিআরটিএর ,অফিস সহকারী… বেবি রানী! . দালাল সিন্ডিকেট নিয়ে দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্য অনিয়ম অভিযোগ পাওয়া গেছে মেট্রোরেল চোরাই পণ্যের অনুসন্ধানে সাংবাদিকদের উপর হামলা, ক্যামেরা ভাংচুর, ও মোবাইল ছিনতাই – বানারীপাড়ায় ৯ম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা, আসামির তালিকা থেকে বাদ পরল আ’লীগ নেতার ছেল চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা জন্য দোয়া ও ইফতার মাহফিল  কাফরুল থানার সেনপাড়া এলাকার মেহেদী হাসানের হত্যা কারিদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল। মিরপুর পল্লবী থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের পক্ষ থেকে মাসব্যাপী ইফতার বিতরণ কর্মসূচী চামাইরা বাবুর চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসার কারণে অতিষ্ঠ কাফরুল থানার জনগণ … দেখার ও বলার কেউ নেই !

মিরপুর মডেল থানার শ্রেষ্ঠ ওসি হিসেবে সম্মাননা স্মারক গ্রহণ….. সাজ্জাদ রোমন

সুমন খান:
জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে পুলিশ-জনতার ‘মুখোমুখি’ অবস্থানের পর বাহিনীটিকে ‘ঘুরে দাঁড়াতে’ নানা উদ্যোগের মধ্যে এবারের পুলিশ সপ্তাহ শুরু হচ্ছে। ‘আমার পুলিশ আমার দেশ, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যে,২৮ এবং ২৯ ও ৩০, এপ্রিল ২০২৫ রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভাষণের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে পুলিশ সপ্তাহের মূল আয়োজন।
এই ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়ে,
এবারও ৬২ জনকে বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল (বিপিএম) ও প্রেসিডেন্ট পুলিশ মেডেল (পিপিএম) পদক দেওয়া হয়েছে।
ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের পদক দেওয়ার রীতির শুরু হয় ২০১০ সাল থেকে। সাব-অর্ডিনেট অফিসারদের কাজকে নিজের কৃতিত্ব হিসেবে দেখিয়ে অনেক কর্মকর্তা এই পদক বাগিয়ে নেন আওয়ামী লীগ আমলে। কিন্তু  বিরোধী দলকে দমন করে শেখ হাসিনার আমলে অনেকে বিপিএম-পিপিএম পদক পান। এই ২০২৫ সাল  এ বছরেও জন্য যে ৬২ জনকে বিবেচনা করা হয়েছে,তার মধ্যে শ্রেষ্ঠ অফিসার হিসেবে সম্মান সার্টিফিকেট দেন সৎও সাহসী অফিসার ডিএমপি মিরপুর জোন মিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সাজ্জাদ রোমনকে।বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টাগণের সাথে পুলিশের মতবিনিময় পুলিশ সপ্তাহ ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে গত বুধবার (৩০ এপ্রিল ২০২৫) রাতে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব/সচিবগণের সাথে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে  অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, মাননীয় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়ব, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মোঃ খোদা বখস চৌধুরী।ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ বাহারুল আলম বিপিএম এর সভাপতিত্বে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এ সভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ আবু তাহের, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ নজরুল ইসলাম, তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, এনডিসি, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ খায়েরুজ্জামান মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন মতবিনিময় সভা বাস্তবায়ন উপকমিটির সভাপতি ও হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত আইজি মোঃ দেলোয়ার হোসেন মিঞা। অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার থেকে তদূর্ধ্ব কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ পুলিশের অপারেশনাল কার্যক্রম আরও গতিশীল করার লক্ষ্যে সভায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়।আইন উপদেষ্টা বলেন, পুলিশের মর্যাদা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার করা হবে। তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন সময়ে পুলিশের অনন্য ভূমিকার প্রশংসা করেন।স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। এটি আরও উন্নত করার সুযোগ রয়েছে। তিনি গত ঈদুল ফিতরসহ অন্যান্য অনুষ্ঠানে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনের জন্য পুলিশ সদস্যদের ধন্যবাদ জানান।গণপূর্ত উপদেষ্টা বলেন, ৫  আগস্টের পরের পুলিশ হবে জনগণের পুলিশ। তিনি পুলিশকে ফ্যাসিবাদী পুলিশের পরিবর্তে জনগণের পুলিশ হওয়ার আহ্বান জানান।তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বলেন,পুলিশ তখনই জনগণের পুলিশ হবে যখন পুলিশের কার্যক্রমে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়বে। তিনি বলেন, পুলিশের তথ্যপ্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়াতে আইসিটি বিভাগ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করবে।জানা যায়, রাজধানীর মিরপুর মডেল থানা যোগদান করার পর থেকে  , মাদক উদ্ধার, ডাকাতি ও হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাধ দমন, সাধারণ মানুষের কাছে পুলিশের সেবা পৌঁছে দেওয়া, অপরাধীদের গ্রেফতার, মামলা নেওয়া, রেকর্ড পরিমাণ ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি গ্রেফতার, বিচারে সহায়তাসহ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ডিএমপি মিরপুর জোন , মিরপুর মডেল থানার শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত হওয়ায় ,  সম্মাননা এবং সার্টিফিকেট তুলে দেয় সাজ্জাদ রোমনকে। এ ছাড়া মাদক উদ্ধারকারী অফিসার হিসেবে মডেল থানার শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত হয়েছেন , সম্মাননা ও পুরস্কার স্বরূপ গ্রহণ করেন। ওসি সাজ্জাদ রোমন
থানায় যোগদানের পরপরই পুলিশের কর্মকাণ্ডেও পরিবর্তন এনেছেন। আইনশৃঙ্খলা উন্নয়নের পাশাপাশি মানুষের দ্বারপ্রান্তে পুলিশের সেবা পৌঁছে দিতে বিট পুলিশিং কার্যক্রমের ব্যাপক প্রসার ঘটিয়েছেন। কমে গেছে মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রবণতাও। শোষিত, নির্যাতিত, সম্পদের ভাগ-বণ্টন, পারিবারিক ছোট-বড় যেকোনো সমস্যায় সাহায্য নিতে থানায় আসা ব্যক্তিদের সততা-নিষ্ঠা ও ধৈর্যের সঙ্গে হাসিমুখে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত সেবা দিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
থানায় সেবা নিতে আসা কবিরাজ সোহেল , উত্তরা থেকে এক ব্যক্তি   মিলন হোসেন  বলেন, ‘এত সুন্দর মন মানসিকতার ওসি এর আগে আমরা পাইনি। তাকে কখনও পুলিশ মনে হয় না। মনে হয় আমাদের পরিবারেরই একজন। তবে কঠিন এবং কোমল দুটো রূপই তার রয়েছে। অপরাধীদের কাছে তিনি আতঙ্ক।’
আরেক সেবা  জুয়েল রানা বলেন, ‘একটা সময় ছিল যখন সবাই মনে করতেন, থানা মানেই হয়রানি আর ঘুষের কারবার। কিন্তু আমাদের সেই ধারণা এখন পাল্টে গেছে। থানাকে এখন সবচেয়ে বড় ভরসার জায়গা মনে হচ্ছে। এটার কৃতিত্ব নিঃসন্দেহে বর্তমান ওসি সাহেব সাজ্জাদ রোমন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost.Com